ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর । মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা। মুসলিম সাম্রাজ্যের ৪ বীর সেনা - 4 Muslim heroes who changed history. 4 Greatest Warriors in Muslim History 4 brave soldiers of the Muslim empire

 ইতিহাস বদলানো জন মুসলিম বীর মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা

ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর । মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা। মুসলিম সাম্রাজ্যের ৪ বীর সেনা - 4 Muslim heroes who changed history. 4 Greatest Warriors in Muslim History 4 brave soldiers of the Muslim empire
ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা

 

একসময় পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুসলিম শাসকরা। বিস্তৃত করে গেছেন মুসলিম সাম্রাজ্যের। তাদের মেধা  রণকৌশলের কাছে ইয়াহুদি  খ্রিষ্টানরা পরাজয় বরন করেন বন্ধুরা আমরা আজ জানব মুসলিম বিশ্বে ৪জন অকুতভয় বীর সেনানীর কথা। মুসলিম হলে অবস্যই আপনার জানা জরুরীতাদের ঘটনা জানলে আমাদের ঈমান আরো মজবুত করতে পারবইনফরমেশন জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বন্ধুরা শুরু করার আগে একটি কথা বলবনামায বাদ দিওনা বন্ধুএপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর।
 

মুহাম্মদ আল ফাতেহ

১৪৩২ সালে মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম বীর মুহাম্মদ আল ফাতেহ জন্মগ্রহণ করেন। মুহাম্মদ আল ফাতেহ ছিলো মেধা ও যোগ্যতায় অতুলনীয়। মুহাম্মাদ আল ফাতেহের বয়স যখন ১১, তখন তার পিতা দ্বিতীয় মুরাদ উসমানি সালতানাতের দায়িত্ব মুহাম্মাদ আল ফাতেহের ওপর অর্পণ করেন। কিন্তু তার বয়স অল্প হওয়ার কারণে তিনি পুণরায় ক্ষমতা তার বাবা দ্বিতীয় মুরাদ এর পর হস্তান্তর করেন। ১৪৫১ সালে দ্বিতীয় মুরাদের মৃত্যুর কারণে ক্ষমতা মুহাম্মদের ঘাড়ে এসে পড়ে এবং সময় তিনি ছিলেন ১৯ বছরের টগবগে যুবক।



বিশ্ব নবীরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ভবিষ্যতবাণী করে গিয়েছিলেন, কনস্ট্যান্টিপল মুসলিমরা একদিন জয় করবে এবং বলেছিলেন কতই না অপূর্ব সেই বিজয়ী সেনাপতি ও তার সেনাবাহিনী। হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর এই ভবিষ্যতবাণী বাস্তবে রুপ দিতে মুহাম্মদ আল ফাতেহের আগে তার পূর্বপূরুষরা কনস্ট্যান্টিপল জয়ের অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেউ সফল হতে পারেননি। তবে মুহাম্মদ আল ফাতেহ ক্ষমতা হাতে পেয়ে চেষ্টা চালাতে থাকেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ভবিষ্যতবাণীকে বাস্তবে রুপ দিতে। সর্ব শেষ মুহাম্মদ আল ফাতেহ সফল হন।



১৪৫৩ সালে ২১ বছরের সদ্য যুবক টানা ৫৩ দিন যুদ্ধের মাধ্যমে অধিকার করে নেন বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্ট্যান্টিপল। এর মাধ্যমে পতন হয় খ্রিস্টান রোমান সাম্রাজ্যের এবং মুসলিমদের হতে চলে আসে ইউরোপের শ্রেষ্ঠতম নগরী আর তাকে উপাধী দেওয়া হয় আল ফাতেহ। অর্থাৎ বিজেতা! কনস্ট্যান্টিপল জয়েই মুহাম্মদ আল ফাতেহ ইতিহাসের পাতায় এখনও অমর হয়ে আছেন। তার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্য কনস্টান্টিনোপল, এশিয়া মাইনর, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, ইতালি ও ক্রিমিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ১৪৮১ সালে ৪৯ বছর বয়সে এই মহান বীর মৃত্যুবরণ করেন।


ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর । মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা। মুসলিম সাম্রাজ্যের ৪ বীর সেনা - 4 Muslim heroes who changed history. 4 Greatest Warriors in Muslim History 4 brave soldiers of the Muslim empire
ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা রুকনুদ্দিন বাইবার্স


রুকনুদ্দিন বাইবার্স

রুকনুদ্দিন বাইবার্স ১২২৩ সালে কিপচাক উপত্যকার কুমান গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন যার নাম বর্তমানে (কাজখস্তান)কিপচাক উপত্যকায় বসবাস ছিলো জাজাবর সম্প্রদায়ের। বাইবার্সের বাল্যজীবন তেমন একটা আনন্দময় ছিলো না। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাকে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও কর্ম চঞ্চল। দুই ঘোড়ার পিঠে চড়ে তীর ছুঁড়াটাও ছিলো বাইবার্সের পারদর্শীতার একটি। বাইবার্সের সাহসিকতার একটি হলো-চেঙ্গিস খানের গঠিত মঙ্গোল বাহিনীর পরাজয় বরণ।



মোঙ্গলরা ছিলো সব যুদ্ধে অপরাজিতকিন্তু সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্সের কাছে তারা হারতে বাধ্য হয়। মোঙ্গলরা এমন এক দুর্যোগের নাম, যেখান থেকে মানুষ কেবল পালানোর কথাই ভাবতে পারে। কিন্তু সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স সেই ভাবনা পাল্টে দিয়ে গেছেন ইতিহাসে। আর সেটা শুরু হয় ঐতিহাসিক আইন জালুত যুদ্ধ দিয়ে। যেটা ছিলো ইতিহাসের এক অন্যতম রণক্ষেত্র। যে রণক্ষেত্রে অপরাজিত মোঙ্গলদের শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়।



এই লড়াই ছিলো- মঙ্গোলদের কাছ থেকে মুসলিমদের প্রথম বিজয় এবং তা আজ ইতিহাসের অন্যতম রুপ। অন্যদিকে ক্রুসেডাররা যখন গোটা আরব দখল করতে চক্রান্ত করছিলো, তখন উত্থান হয় রুকনুদ্দিন বাইবার্স এর১২৬০ সালের পরে এসে চারিদিকে মোঙ্গলক্রুসেডারদের কাছে রুকনুদ্দিন বাইবার্স হয়ে যায় একটি প্রলয়ংকারী ঝড়ের নাম। মোঙ্গলক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে অবিচারের প্রতিশোধ নিতে রুকনুদ্দিন বাইবার্স ফুঁসে ওঠে



এতে করে বিভিন্ন যুদ্ধে মোঙ্গলক্রুসেডারদের বরণ করতে হয় শোচনীয় পরাজয়। ১২৭৭ সালে এই মহান বীর ইহলোক ত্যাক করেন। রুকনুদ্দিন বাইবার্স বেঁচে ছিলেন ৫৪ বছর। তিনি এই জীবনে দেখিয়ে গেছেন মুসলিম জাতি সব সময় মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জাতি।


ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর । মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ৪ যোদ্ধা। মুসলিম সাম্রাজ্যের ৪ বীর সেনা - 4 Muslim heroes who changed history. 4 Greatest Warriors in Muslim History 4 brave soldiers of the Muslim empire
ইতিহাস বদলানো ৪ জন মুসলিম বীর মুসলিম ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা সুলতান গাজী সালাউদ্দীন আইয়ুবী


সুলতান গাজী সালাউদ্দীন আইয়ুবী

সুলতান গাজী সালাউদ্দীন আইয়ুবী শুধু একটি নাম নয়, সালাউদ্দীন আইয়ুবী  নামটি একটি ইতিহাস। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১১৩৮ সালে। বেঁচে ছিলেন ৫৫ বছর এবং রাজত্ব করেন ১১৭৪ থেকে ১১৯৩ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন মিসর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার জীবদ্দসায় তৈরি করে গেছেন অতুলনীয় বীরত্বের রুপরেখা।



যার মধ্যে একটি হলো- বায়তুল মোকাদ্দাস জয়। বায়তুল মোকাদ্দাস বহুকাল ধরে ইসলামের প্রাণকেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি ছিল। ১০৯৯ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা বায়তুল মোকাদ্দাস অবরোধ করে মুসলিমদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। ১১৮৭ সালে বীর সেনাপতি সালাউদ্দীন আইয়ুবীর নেতৃত্বে বায়তুল মোকাদ্দাস পুণরায় মুসলিমদের দখলে আসে। ১১৯৩ সালে মিসরের সর্বশ্রেষ্ঠ সুলতান নামে খ্যাত এই বীর ইহলোক ত্যাক করেন।



নিজামুল মুলক

নিজামুল মুলক জন্মগ্রহণ করেন ১০১৭ সালে। তার প্রকৃত নাম আবু আলি আল হাসান আত তুসী। আল্প আরসালান ও মালিক শাহ এই দুই সেলজুক শাসকের অধীনে ৩০ বছর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন নিজামুল মুলক। রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি অনুপম দক্ষতার পরিচয় দেন। সেলজুক সাম্রাজ্যকে উন্নত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অবদান রাখায় তাকে নিজামুল মুলক বলে ডাকা হতো। বলা যায়, তাকে ছাড়া সেলজুক সাম্রাজ্যের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।



নিজামুল মুলক তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে মানুষকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে ধারণা দিতে রচনা করেন ‘সিয়াসাত নামা’ নামের গ্রন্থ। নিজামুল মুলকের নিজামিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ফসল আজকের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা। ইতিহাসে এত বেশি অবদান রাখা সত্ত্বেও বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় তাকে স্মরণ করা হয় না এবং অনেক ডিগ্রিধারী লোক জানে না নিজামুলক কে?



রাষ্ট্র এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য আনেন নিজামুল মুলকতবে আজ ইতিহাসে এই মহান ব্যাক্তিকে নিয়ে বেশি একটা চর্চা করা হয়না, জ্ঞান-বিজ্ঞান সাফল্য আনা এই মহান ব্যক্তি ইহলোক ত্যাগ করে ১০৯২ সালে।



তাহলে বন্ধুরা আজ আমরা ইসলামি ইতিহাসের উজ্জল ৪ নক্ষএ সম্পর্কে জানলামএই বিষয়ে আপনার যে কোন মতামত কমেন্ট বক্সে দিবেন।


ইসলামিক মিডিয়া

 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.