উসমান গাজীর প্রথম যুদ্ধ্ব জয়
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন আজকের পর্বে আমরা জানবো ওসমানিয় সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ওসমান গাজীর প্রথম যুদ্ধের জয় লাভ নিয়ে তার আগে আপনাদের একটি কথা বলব নামাজ বাদ দিও না বন্ধু এবারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক,
কায়ী গোষ্ঠীপ্রধান আরতুগ্রুল গাজীর ছোট ছেলের নাম ছিল ওসমান। ওসমান ছিলেন তুলনামূলক ভাবে সাহসী, বুদ্ধিমান এবং ধৈর্যশীল। আরতুগ্রুল গাজীর পর কায়ী গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে ওসমান বে কে নির্বাচিত করা হয়। ওসমান যখন বেইলিক প্রধান হন তখন আরতুগ্রুল গাজীর পক্ষ থেকে খুবই সামান্য অর্থ সম্পদ পেয়েছিলেন।
আর ওসমান গাজী বসতি প্রধান হয়েই তাদের সীমানা
বড় করার চেষ্টা করেন, আর যখন ওসমান গাজী মাঠে নেমে পড়েন
তখন তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষ করে ইনিগুলোর টেকপুর আয়ানিকুলা
তাকে বাধা গ্রস্থ করে, আয়ানিকুলা অনেক চালাক চতুর লোক
ছিল।
সে আগে থেকেই যাযাবর তুর্কি বসতিগুলোতে বর্বর হামলা ও লুটপাট চালিয়ে আসছিল, এবং সেখান থেকেই আয়ানিকুলা ওসমান গাজীর কাজ কর্ম ও দক্ষতা দেখে বুঝে গিয়েছিল যে ওসমান গাজী বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের জন্য বিশাল বড় একটি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, তাই সে সিদ্ধান্ত নিলেন যে ভাবেই হোক ওসমানবেকে থামাতেই হবে, তাই ওসমান গাজীর বসতির উপরে গোপনে আক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
আয়ানিকুলার আক্রমণে ওসমান গাজী অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেন, এবং ওসমান গাজী চিন্তা করতে লাগলেন কিভাবে তুর্কি বসতিগুলোকে আয়ানিকুলার জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করা যায়,তখন ওসমান বে আব্দুর রহমান গাজী তুর্কুতবে ও আচ্ছাকোচাবের সাথে পরামর্শে বসলেন, এবং সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নিলেন যেভাবেই হোক ইনিগুল দূর্গকে বিজয় করতে হবে।
কিন্তু এদিকে আয়ানিকুলা উসমান বেঁকে থামানোর জন্য অতর্কিত হামলা চালাতে লাগলো, বেশ কয়েকবার আয়ানিকুলা ওসমানবে ও তার দলের উপরে হামলা করে, এবং তার বর্বরচিত হামলায় ওসমানবের কয়েকজন সেনা শহীদ হয়ে যান, এবং তার কর্মকান্ডে ওসমানবে ও তুর্কিরা আরো অনেকটা ফুসে উঠেন, তারপর ওসমানবে অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, কুলুজাহিসার দুর্গ জয় করতে হবে, কুলুজাহিসার দুর্গ ইনিগুলের পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত একটি দুর্গ।
এই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়েছিল ইনিগুলকে রক্ষা করার জন্য, আর সে কারণেই ওসমান গাজী চিন্তা করলেন ইনিগুল দূর্গকে বিজয় করতে হলে প্রথমে কুলুজাহিসার দুর্গকে বিজয় করতে হবে, ১২৮৫ সালে ওসমান বে মাঠে নেমে পড়লেন, কুলুজাহিসার দুর্গ জয় করতে গিয়ে উসমানবে দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি ছদ্মবেশে তার কিছু আল্পদেরকে কুলুজাহিসার দুর্গে আগেই প্রবেশ করিয়েছিলেন, যার কারনে ওসমানবের আল্পরা কুলুজাহিসার দুর্গের ভিতর থেকে দূর্গের মূল ফটক খুলে দেন।
তার সাথে সাথেই ওসমান গাজী এবং তার আল্পরা মিলে কুলুজাহিসার দুর্গে আক্রমণ করেন, এই আক্রমণের সময় ওসমান গাজীর সাথে চারশত ৫০ জন
মুজাহিদ ছিল, ওসমান গাজির দূরদর্শিতার ফলে খুব সহজেই কুলুজাহিসার দুর্গ বিজয় করতে পেরেছিল তুর্কিরা।
আর এটাই ছিল উসমান গাজীর প্রথম বিজয়, কুলুজাহিসার দূর্গ বিজয় করার ফলে ইনিগুল অনেকটাই অরক্ষিত হয়ে পড়ে, এবং চালাক চতুর আয়ানিকুলা ওসমানবের অনেকটাই ফাঁদে পড়ে যায়, এক কথায় বলা যায়, তারপর থেকেই আয়ানিকুলাকে ওসমানবে দৌড়ের উপর রাখে, এবং আয়ানিকুলা ওসমানবেকে রুখে দেওয়ার জন্য কারাজা হিসার দূর্গের টেকপুরের কাছে চিরকুট লেখেন।
তিনি সেই চিরকুটে উল্লেখ করেন তুর্কিরা আমাদের দুর্গ কেড়ে নিয়েছে, যদি আমরা তাদেরকে এখনও না থামাই,
তাহলে তারা একে একে আমাদের সমস্ত দুর্গগুলি দখল করে নেবে।
তাহলে বন্ধুরা আমরা আজ জানলাম ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ওসমান গাজী কিভাবে প্রথম যুদ্ধ জয় লাভ করেছিলেন এবং সেখান থেকেই অটোমান সম্রাজ্যের শুরু হয়েছিল,
ইসলামিক মিডিয়া