টাইগার থ্রি মুভির গল্প-Tiger 3 movie story-Movie Explained in Bangla- tiger 3 Movie download Link

 ----🎥 টাইগার থ্রি মুভির গল্প🎥---- 

Tiger 3 movie story-Movie Explained in Bangla


টাইগার থ্রি মুভির গল্প-Tiger 3 movie story-Movie Explained in Bangla
টাইগার থ্রি মুভির গল্প-Tiger 3 movie story-Movie Explained in Bangla

টাইগার থ্রি মুভির গল্প Tiger 3 movie story-Movie Explained in Bangla, বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, চলে এসেছি বলিউড স্পা ইউনিভার্সের নতুন মুভি  টাইগার থ্রি এর গল্প নিয়ে, সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় মুভি টাইগার থ্রি, অ্যাকশনের পাশাপাশি রোম্যান্স এবং ইমোশনে ভরপুর টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজি, এখানে ইন্ডিয়ান র এজেন্ট অভিনাশ সিং রাঠোর ওরফে টাইগার এবং পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট জোয়াকে একে অপরের বিপক্ষে লড়াই করতে দেখা গেছে।


আবার তারা একে অপরকে ভালবেসে ঘর বেঁধেছে, কিন্তু টাইগার এবং জোয়া কেউই নিজের দেশ কিংবা নিজের আদর্শ ত্যাগ করেনি, দেশের জন্য যখনই তাদের প্রয়োজন হয়েছেতাঁরা নির্দ্বিধায় ছুটে গেছে, একে অপরের দেশকে সম্মান করে, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে লড়াই করেছেএবার তাঁদের সামনে এসেছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ।


এ ছাড়াও এই মুহূর্তে বাড়তি চমক হিসেবে পাঠানের সাথে এর কানেকশন দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি স্টোরি থাকছে আজকের এই গল্পতে, গাইছ সম্পূর্ণ গল্প জুড়েই আহসান থাকব আপনাদের সাথে, টাইগার থ্রি মুভির গল্প (এক্সপ্লেইন), মুভির শুরুতে জোয়ার শৈশবের দৃশ্য দেখানো হয়, এখানে আমরা দেখতে পাই জোয়া তার বাবার সাথে বক্সিং প্র্যাকটিস করছে। জোয়ার বাবা রিয়ার নাযার একজন পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট,


নাযার দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছে, সে জোয়াকেও নিজের মতো করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। একদিন সকালে নাযার জয়াকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বের হয়, কিন্তু নাযার গাড়িতে ওঠার সাথেই হঠাৎ গাড়িটা ব্লাস্ট হয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় নাযারের, জোয়া তখন তার বাসার ভেতরে ছিল, তাই সে বেঁচে যায়, নাযারের মৃত্যুর পর আতিস রেহমান নামের এক ব্যক্তি জোয়ার সাথে দেখা করতে আসে।


আতিস রেহমান নাযারের মতো একজন এজেন্ট, মূলত নাযার আতিসকে নিজের আদর্শে গড়ে তুলেছে, তাই নাযারের মৃত্যুর পর আতিস জোয়ার সমস্ত দায়িত্ব নেয়, আতিস জোয়াকে বলে তোমার বয়স যখন ২১ হবে, তখন তোমাকে নিজের প্রফেশন বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তুমি তোমার বাবার মতো নিজের জীবন উৎসর্গ করবে, নাকি সাধারণ মানুষের মতো বেঁচে থাকবে।


সেটার সিদ্ধান্ত তুমি নিজে নেবেজোয়া বলে ২১ বছর হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করতে পারব না। শত্রুরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, শত্রুদের সাথে লড়াই করার জন্য এখন থেকেই আমি প্রস্তুতি নিতে চাই, আতিস জোয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়, এর পরের দৃশ্য আমরা ইন্ডিয়ান রবির চিফ মৈথিলী মেননকে দেখতে পাই। গোপী নামের একজন র এজেন্ট বেশ কিছুদিন থেকেই নিখোঁজ।


গত দুই বছর ধরে রঙের হয়ে গোপী তালেবানদের মুভমেন্টের উপর নজর রাখছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে গোপীর কোন আপডেট পাওয়া যাচ্ছে না। গোপী এমন এক জায়গায় গিয়েছে যেখান থেকে আজ পর্যন্ত কোন এজেন্ট জীবিত ফেরত আসতে পারেনি। এই বিপজ্জনক স্থান থেকে গোপীকে একজনই ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। আর সে হল র এজেন্ট অবিনাশ সিং রাঠোর ওরফে টাইগার।


তাই মৈথিলী টাইগারকে কল করে গোপীর ব্যাপারে জানায়, এবং গোপীকে বাঁচানোর দায়িত্ব টাইগারকে অর্পণ করে, মৈথিলী এই মিশনের নাম দেয় মিশন টাইম পাস, যথাসময়ে টাইগার গোপীকে উদ্ধার করতে চলে যায় তালেবানদের আস্তানায়, সেখানে পৌঁছে দেখে তালেবানরা গোপীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করছে, ওরা গোপীকে হত্যা করতে যাবে,ঠিক  তখনই টাইগার সেখানে উপস্থিত হয়।

টাইগার গোপীকে তালেবানের কবল থেকে উদ্ধার করে, টাইগার নিজের সাথেই হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছিল, যাতে গোপীকে সুরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে, আর টাইগার গোপীকে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে দিয়ে তালিবানদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে। কিন্তু এতোগুলো অস্ত্রধারী সৈনিকের সাথে লড়াই করা টাইগারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।


তাই টাইগার ফুল স্পিডে বাইক চালিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে। এর পরে সেখান থেকে লাফ দিয়েই হেলিকপ্টারে উঠে পড়ে, হেলিকপ্টারের ভিতরে গোপীর টিটমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ গুরুতর আহত অবস্থাতেও গোপী বার বার জিজ্ঞেস করছিল, হেলিকপ্টার ইন্ডিয়া সীমায় পৌঁছেছে কিনা, নিজের মাতৃভূমিকে দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে, এর মাঝে গোপী টাইগারকে বলে একদল পাকিস্তানি এজেন্ট বড় কিছু করার পরিকল্পনা করেছে৷


এই এজেন্সি আইএসআই এর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আমি আমাদের এজেন্সির সার্ভারে এই ব্যাপারে সমস্ত ডিটেলস আপডেট  করে দিয়েছি, এরপর গোপী টাইগারকে সিক্রেট ইনফরমেশন দেয়। গোপী জানায় র’য়ের একজন এজেন্ট, ওই এজেন্সির সাথে যুক্ত আছে। সেই একই সাথে দুই এজেন্ট জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর এই ডাবল এজেন্ট আর কেউ নয় বরং টাইগারের ওয়াইফ জোয়া।


এই কথা শুনে টাইগার হতবাক হয়ে যায়। এর মাঝেই হেলিকপ্টার ইন্ডিয়া সীমায় পৌঁছে যায়, মাতৃভূমিতে পৌঁছানোর পর গোপী  তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। এর পরে টাইগার তার বাড়ি ফিরে যায়। ওয়াইফ জোয়া এবং ছেলে জুনিয়রকে নিয়ে টাইগারের হ্যাপি ফ্যামিলি। কিন্তু এবার বাড়িতে ফিরে টাইগার দেখে জুনিয়র কিছুটা অসুস্থ, জোয়া একজন ডক্টর বাসায় ডেকে জুনিয়রের ট্রিটমেন্ট করাচ্ছেএটা দেখে টাইগার কিছুটা ঘাবড়ে যায়।


জোয়া আশ্বস্ত করে বলে টেনশন করার মতো কিছু হয়নি৷ নর্মাল ইনফেকশন হয়েছেখুব শীঘ্রই সেরে যাবে, ডক্টর চলে যাওয়ার পর জোয়া গোপীর জন্য সমবেদনা জানায়, এবং টাইগার কে সান্ত্বনা দেয়। কারণ গোপীর মৃত্যুতে টাইগার কিছুটা ভেঙে পড়েছে, তখন টাইগার জোয়াকে বলে গোপী মৃত্যুর আগে বলেছে আমাদের মধ্যে থেকে কেউ একজন ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। গোপীর কথা সত্যি নাকি মিথ্যা, বুঝতে পারছি না।


জোয়া বলে মৃত্যুশয্যায় কেউ মিথ্যা বলে না, গোপী  হয়তো সত্যি কথাই বলেছে, টাইগার জোয়াকে বুঝতে দেয় না গোপী তার কথাই বলছে, কিন্তু সে জোয়ার উপর নজর রাখতে শুরু করে। এর মাঝে একদিন মৈথিলি আবারও টাইগারকে কল করে, মৈথিলি বলে গোপী যে সব ইনফরমেশন দিয়েছে সেই অনুযায়ী পাকিস্তানে একটা নতুন এজেন্সি নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। তাদের জন্য অস্ত্র সাপ্লাই করে জীবন নামের এক ডিলার।


জীবন গোপীর মাধ্যমে পাকিস্তানের কিছু সিক্রেট ইনফরমেশন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু গোপীর মৃত্যুর পর জীবন এক্সপোজ হয়ে গেছে। এখন সে ভয় পাচ্ছে পাকিস্তানের ঐ নতুন এজেন্সি হয়তো তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে, জিবরানের কাছ থেকে যে ভাবেই হোক সিক্রেট ইনফরমেশন গুলো জেনে নিতে হবে। তাই মৈথিলি টাইগারকে বলে জিবরানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে, জিবরান বর্তমানে রাশিয়াতে আছে তাই টাইগার রাশিয়া চলে যায়।


তবে সে তার গেটাপ চেঞ্জ করে নিজের পরিচয় গোপন করে সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে টাইগার দেখতে পায় অন্য একটা গ্রুপ জীবনকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। এরা মূলত পাকিস্তানে নতুন এজেন্সির সদস্য, যাঁদের কথা গোপী বলেছিল, তাই ওদের হাত থেকে জিবরানকে বাঁচানোর ট্রাই করে। তখনই একজন লেডি এজেন্ট বাইক নিয়ে এসে টাইগার এর উপর এ্যাটাক করে, ওই এজেন্টের সাথে টাইগারের লড়াই শুরু হয়।


এক পর্যায়ে এজেন্ট বাইক থেকে পড়ে যায় এবং তার হেলমেট খুলে যায়। টাইগার এজেন্টকে শ্যুট করতে যাবে, তখনই খেয়াল করে সেটা আসলে তাঁর স্ত্রী জোয়া, টাইগার ছদ্মবেশে থাকায় জোয়া তখনও টাইগার কে চিনতে পারেনি। তাই সে টাইগারকে হত্যা করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়। তাই টাইগার টিম মেম্বারদের কাছে জিবরানকে সুরক্ষিত অবস্থায় হ্যান্ডওভার করে, তারপর জোয়ার সাথে বোঝাপড়া করতে চলে যায়।

 

ঐ সময় জোয়া অনবরত টাইগারকে আঘাত করার চেষ্টা করে। কিন্তু টাইগার জোয়াকে পাল্টা আঘাত না করে নিজেকে সেফ করতে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে টাইগার জোয়া কে পরাস্ত করে ছদ্মবেশ খুলে ফেলে, জোয়া কে নিজের পরিচয় দেয় এবং বলে তুমি ঠিকই বলেছিলে মৃ*ত্যু পথযাত্রী কখনও মিথ্যা বলে না। গোপীর কথায় সত্যি, তুমি আসলেই ডাবল এজেন্ট, জোয়া বলে তুমি যা ভাবছ তা সত্যি নয়।


পুরো সত্যিটা গোপী নিজেও জানত না। নিজের স্ত্রীকে বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখে টাইগার অনেক কষ্ট পায়। কিন্তু টাইগার এর আদর্শ সব কিছুর উর্দ্ধে, তাই সে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে প্রিয়তমা স্ত্রীকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। টাইগার জোয়ার দিকে গান তাক করে বলে মৃ*ত্যুর আগে বলে দাও, কেন এমনটা করলে, ঠিক ওই মুহূর্তে একজন ব্যক্তি পিছন থেকে এসে টাইগারের মাথায় আঘাত করে, সাথে সাথে টাইগার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।


এরপর যখন টাইগারের জ্ঞান ফিরে আসে, সে নিজেকে বন্দি অবস্থায় দেখতে পায়, শিকল দিয়ে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছে, টাইগারের জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে টাইগারের সামনে একটা স্ক্রিন ভেসে ওঠে, সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে টাইগার এর সাথে কথা বলে আতিস রেহমান, আতিস কে দেখেই টাইগার চিনতে পারে। এখানে আমরা আতিসের সাথে জোয়াকে দেখতে পাই, জোয়া কে দেখে টাইগার জানতে চায় কীসের বিনিময়ে সে এইভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।


তখন আতিস বলে এমন কিছুর জন্য করছে, যেটার জন্য তুমি ও বিশ্বাসঘাতকতা করতে রাজি হবে। এরপর আতিস জুনিয়রকে দেখায়, মূলত আতিস জুনিয়রকে জিম্মি করে জোয়াকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিচ্ছে, টাইগার আতিস এর কাছে জানতে চায় জুনিয়রের সাথে কি করছে, তখন আতিস টাইগার কে ১২ বছর আগের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দেয়।


২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনামে ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে একটা শান্তিচুক্তির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। ঐ সম্মেলনে পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্টের চিপ এবং ভারতের সেনা প্রধানের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে যেন কোন ঝামেলা না হয়, তাই সিকিওরিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় আতিসকে, আতিস সে সময় আইএসআই এর ডেপুটি কমিশনার ছিল, আর আতিস ছিল এই শান্তি চুক্তির বিপক্ষে।


তার মতে ইন্ডিয়ার সাথে শান্তি চুক্তি করার অর্থ ইন্ডিয়ার কাছে মাথা নত করা, তাই সে কোন ভাবেই পাকিস্তানকে ইন্ডিয়ার কাছে মাথা নত করতে দিতে রাজি নয়। তাই সে ইন্ডিয়ান জেনারেলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে কোন প্রকার শান্তিচুক্তি না হয়। আর এই কাজটা আতিস জোয়াকে করতে বলে। কারণ জোয়া অন্য এজেন্টদের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ ছিল। কিন্তু জোয়া আতিসের এই প্রস্তাবে রাজি হয় না। সে আতিসকে এমনটা করার চিন্তা ভাবনা বন্ধ করতে বলে।


তখন আতিস বলে তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে, আমার বিরোধিতা করছ, জোয়া বলে আপনি আমার মেন্টর এটা সত্যি, কিন্তু আমি আপনার এজেন্ট নই। আমি আমার দেশ পাকিস্তানের এজেন্ট, যে আমার দেশের শান্তির বিপক্ষে কথা বলবে, আমিও তার বিপক্ষে কথা বলব, জোয়া নিষেদ করার পর আতিস এর স্ত্রী শাহিন এসে বলে, তোমার জন্য এই কাজটা আমি করব। শাহিন ওই সময় প্রেগন্যান্ট ছিল। তাই আতিস তাকে রিস্ক নিতে নিষেদ করে। কিন্তু সাহিনা আতিসকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করায়।


এদিকে আতিস তাঁর সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই পরিবর্তন করবে না বুঝতে পেরে জোয়া আতিস এর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়ান ডেরিগেন্স এর একটি নাম্বারে কল করে রিসিভার উঠিয়ে রেখে দেয়। কাকতালীয়ভাবে কলটা রিসিভ করে টাইগার, সে সময় টাইগার এবং জোয়া কেউ কাউকে চিনত না। যাই হোক টাইগার টেলিফোনের মাধ্যমে দেশের সমস্ত প্ল্যান শুনে ফেলে, সাথে সাথে টাইগার তাঁর টিম নিয়ে জেনারেলের প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।


সেখানে আতিসের এজেন্টের সাথে টাইগারের টিমের বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই সময় টাইগার এর গুলিতে আতিসের স্ত্রী শাহিন নিহত হয়। আতিসের একটা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে একসাথে স্ত্রী এবং অনাগত সন্তানকে হারিয়ে আতিস প্রায় পাগল হয়ে যায়, আতিস আইএসআই এজেন্টের কাছে সারেন্ডার করে, আতিসকে আইএসআই থেকে বহিস্কার করা হয়, এবং শাস্তি হিসাবে জেলে পাঠানো হয়।


এরপরের দৃশ্যতে আমরা দেখতে পাইআতিস প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই জুনিয়রকে ইউজ করে জোয়া এবং টাইগারকে ব্ল্যাকমেল করার ট্রাই করে, আতিস জুনিয়রের শরীরে এক প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রবেশ করিয়েছে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে ১ ঘণ্টা পর পর শরীরে অ্যান্টিডোজ ইনজেক্ট করতে হয়। আর এই অ্যান্টিডোজ শুধুমাত্র আতিসের কাছেই আছে, আতিস অ্যান্টিডোজের বিনিময়ে জোয়া এবং টাইগারকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিতে চায়।


জোয়া আতিসকে বলে আমি একা তোমার সব কাজ একা করে দেব৷ টাইগারকে এ সবের মধ্যে জড়ানোর প্রয়োজন নেই, টাইগার কখনও তাঁর আদর্শ থেকে পিছু হটবে না। আতিস বলে কাজ করলে দুজনকে একসাথেই করতে হবে, ছেলেকে বাঁচানোর জন্য টাইগার কোনো দিক বিবেচনা না করে আতিসের কাজ করতে রাজি হয়, টাইগার এবং জোয়া আতিসের কাজ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, এই কাজ তাদের দুজনের পক্ষে সম্ভব নয়।


তাই টাইগার তাঁর পুরনো সাথী রাকেশকে কল করে। রাকেশের সাথে টাইগার এর আগে অনেক মিশন কমপ্লিট করেছে। টাইগারের কলে রাকেশ এবং তাঁর দুজন অ্যাসিস্ট্যান্ট, কারণ এবং নিখিল অনেক খুশি হয়। টাইগার তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, সে যে কাজের জন্য ফোন করছে সেটা র এর কাজ নয়, সম্পূর্ণ পার্সোনাল কাজ, ধরা পড়লে চাকরি চলে যেতে পারে, এ কথা শোনার পরে ও রাকেশ টাইগারকে হেল্প করতে রাজি হয়।


টাইগার জোয়া কে নিয়ে তুরস্কে চলে যায়, রাকেশ কারণ এবং নিখিলকে নিয়ে সেখানে পৌঁছায়, তুরস্ক, চিন, এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটা বড় চুক্তি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে, এই বৈঠকে চিনের আর্মি জেনারেল নিজের সাথে একটা ব্রিফকেস নিয়ে আসবে। মূলত আতিস সেই ব্রিফকেসটাকে চুরি করতে বলেছে জোয়া এবং টাইগারকে। কিন্তু এই ব্রিফকেস চুরি করা কোন সহজ কাজ নয়৷


চুক্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রিফকেসটা তুরস্কের সব থেকে সুরক্ষিত ভল্টে রাখা হবে, এই ভল্ডটা তুরস্কের সেন্ট্রাল মিলিটারি টাওয়ারের বেসমেন্ট এ অবস্থিত, এই ব্রিফকেসের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকবে চাইনিজ আর লিড কমান্ডার লী, লী মূলত একজন ফাইট মাস্টার, চিনের এজেন্টরা মূলত তাঁর কাছে ফাইট প্র্যাক্টিস করে।


ব্রিফকেস যে ভল্টে থাকবে সেটার লক লীর চোখের আইরিশ কোডে, ভল্ডটি অলরেডি লী এর আইরিশে প্রোগ্রাম করা আছে। অর্থাৎ ভল্ট খুলতে হলে লী এর আইরিস স্ক্যান করতে হবে। সব কিছু শোনার পর রাকেশ বলে আমার কাছে আইরিশ স্ক্যানার আছে। আমি লী এর চোখ স্ক্যান করে সহজেই ভল্ট খুলতে পারব।


জোয়া জানায় তাঁদের হাতে সময় খুবই কম, যা করার শান্তিচুক্তি হওয়ার আগেই করতে হবে। আর শান্তি চুক্তি হতে আর মাত্র ১৫ঘন্টা ৪০ মিনিট বাকি, টাইগার ডিসাইড করে জোয়া লী এর কাছে গিয়ে তার চোখ স্ক্যান করবে, আর ওই সময় টাইগার টাওয়ারের বেইজমেন্টে অর্থাৎ বোল্টের কাছে চলে যাবে।


প্ল্যান অনুযায়ী জোয়া লী এর কাছে যায়।সময় লী স্প্যা নিচ্ছিল, স্প্যা নেওয়ার নাম করে জোয়া লী এর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে, কিন্তু লী বুঝতে পারে জোয়া কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেলী এসে জোয়ার উপর এ্যটাক করে।

এখানে দুইজনের মধ্যে দুর্দান্ত একটা ফাইট হয়। এক পর্যায়ে জোয়া লীকে অজ্ঞান করে লীর আইরিশ স্ক্যান করে নেয়। এরপর দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে। অন্যদিকে টাইগার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টাওয়ারের বেইজমেন্টে পৌঁছে, রাকেশ এবং তাঁর সাথীরা বোল্টের সিস্টেম হ্যাক করে লী এর আইরিশের স্ক্যান কপি ইউজ করে ভল্ট খুলে ফেলে।  ….....………চলবে

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.